সাঁতরাগাছি জংশন রেলওয়ে স্টেশন
ভারতীয় রেল | |||||||||||||
অবস্থান | হাওড়া, হাওড়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ ভারত | ||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৫′০২″ উত্তর ৮৮°১৭′০৩″ পূর্ব / ২২.৫৮৩৮° উত্তর ৮৮.২৮৪৩° পূর্ব | ||||||||||||
উচ্চতা | ১২ মিটার (৩৯ ফু) | ||||||||||||
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল | ||||||||||||
পরিচালিত | দক্ষিণ পূর্ব রেল | ||||||||||||
লাইন | হাওড়া-মুম্বাই হাওড়া-চেন্নাই হাওড়া-গুয়াহাটি | ||||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ৬ | ||||||||||||
রেলপথ | ৬ | ||||||||||||
সংযোগসমূহ | ট্রাক্সি স্টান্ড, বাস স্টান্ড, কোনা জাতীয় সড়ক | ||||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||||
গঠনের ধরন | আদর্শ (ভূপিষ্ঠ স্টেশন) | ||||||||||||
পার্কিং | আছে | ||||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | ||||||||||||
স্টেশন কোড | SRC | ||||||||||||
অঞ্চল | দক্ষিণ পূর্ব রেল | ||||||||||||
বিভাগ | খড়গপুর | ||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||
চালু | ১৯০০ | ||||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬৭-৬৯ | ||||||||||||
আগের নাম | হাওড়া-নাগপুর-মুম্বই লাইন | ||||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||||
| |||||||||||||
অবস্থান | |||||||||||||
সাঁতরাগাছি রেলওয়ে স্টেশন হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছি এলাকার একটি স্টেশন। এই স্টেশনটিকে বর্তমানে টার্মিনাল স্টেশন হিসাবে গড়ার পরিকল্পনা চলছে।
রেল জোন
[সম্পাদনা]দক্ষিণ পূর্ব রেল আমতা, মেচেদা, পাশকুরা, হলদিয়া, কাঁথি, মেদিনীপুর ও খড়গপুরের সাথে যোগাযোগ করে। এবং মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে মেইল / এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে যোগাযোগ রয়েছে। বেঙগল নাগপুর রেলওয়ে, যা বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব রেল নামে পরিচিত, ১৯০০ সালে হাওড়া স্টেশনে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এই সময়, সাঁতরাগাছি থেকে শালিমার স্টেশনের ৩ মাইল দীর্ঘ শর্ট শাখা তৈরি করা হয়েছিল যাতে রপ্তানি দ্রব্যগুলির ভারী ট্র্যাফিক পুনঃনির্দেশিত করা হয়, বড় ফেরি স্টিমার্সের মাধ্যমে কলকাতায় খিদিরপুর ডক থেকে।
তাৎপর্য
[সম্পাদনা]এদিকে এক্সপ্রেস ও মেইল ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে যাত্রার শুরুতে সাঁতরাগাছি স্টেশন এ থামে না। সাম্প্রতিককালে সাঁতরাগাছি ও হাওড়া-কলকাতায় যোগাযোগ ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। ট্যাক্সি এবং বাস স্টেশন সেট করা হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশাবলী মধ্যে ভ্রমণ বন্ধ বোর্ড যাত্রীদের পূরণ। কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে এই অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি ডেডিকেটেড ভলভো বাস পরিষেবা রয়েছে। এই সমস্ত কারণগুলি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে সাঁতরাগাছি উত্থানে অবদান রাখে। উপরন্তু, মানুষ হাওড়া স্টেশনে অত্যধিক ঘোড়দৌড় থেকে বিরত থাকে এবং প্রায়ই সাঁতরাগাছি তে যাত্রা শেষ করে। প্রায় সব হাওড়া / শালিমার আবদ্ধ / মেইল ট্রেন বন্ধ করে দুরন্ত এক্সপ্রেস মত কয়েকটি ছাড়া। তবে হাওড়া / শালিমার থেকে শুরু হওয়া এই এক্সপ্রেস / মেল ট্রেনগুলি তাদের বাহ্যিক যাত্রাগুলিতে সাঁতরাগাছি স্টেশনে থামবে না।
সাঁতরাগাছি স্টেশনের সম্প্রসারণ
[সম্পাদনা]দক্ষিণ পূর্ব রেল এর অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন সাঁতরাগাছি জংশন। কলকাতার প্রবেশপথ হওয়ার কারণে এই স্টেশনে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রচুর। দক্ষিণ পূর্ব রেলের দূরপাল্লা ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেনের সমস্ত প্রকারের ইঞ্জিনের কারশেড ও মালগাড়ি তৈরির কারখানা সাঁতরাগাছি তে অবস্থিত। হাওড়া স্টেশনের চাপ কমাতে সাঁতরাগাছি থেকে প্রায় সমস্ত লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর তা বাস্তবায়িত করতে ২০১৫ সাল থেকে এই স্টেশনেই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের পরিকল্পধা অনুযায়ী, আগামী দিনে দক্ষিণ, পশ্চিম ও মধ্য ভারত মুখী সমস্ত নতুন ট্রেন এই স্টেশন থেকে ছাড়বে। তাই সাঁতরাগাছিকে টার্মিনাল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। মোট প্ল্যাটফর্ম সংখ্যা হবে ৮। পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ফুটওভারব্রিজ ১২ মিটার চওড়া তৈরি হচ্ছে সাঁতরাগাছি তে। দক্ষিণ পূর্ব রেল বিমানবন্দরের ধাঁচেই তৈরি করতে চলেছে স্টেশনটিকে। স্টেশনেই গড়া হবে ৭ তলা নতুন ভবন। তার বিভিন্ন তলে থাকবে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের নানা রকম ব্যবস্থা। প্ল্যাটফর্ম থাকবে একতলায়। অন্যান্য তলে থাকবে পার্সেল রুম, ক্লোক রুম, ভিআইপি লাউঞ্জ, এটিএম, টিকিট সংরক্ষণের অফিস, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রাম কক্ষ। সাঁতরাগাছি স্টেশনের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে যা কলকাতার প্রবেশপথ। সাঁতরাগাছি স্টেশনের অদূরে তৈরি হচ্ছে কলকাতা সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস, বাস টার্মিনাল থেকে বেরোনোর জন্য তৈরি হচ্ছে দুটি উড়ালপুল। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে তৈরি হচ্ছে এমন একটা উড়ালপুল, যা অর্ধবৃত্তাকারে পাক খেয়ে স্টেশন বিল্ডিং-এর তিনতলা ঘেঁষে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে নামবে। যাত্রীরা যাতে স্টেশন বিল্ডিং থেকে প্রয়োজন মতো যে কোনও প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে পারেন, তার জন্য তৈরি হবে একটি ফুট ওভারব্রিজ। এ ছাড়া, মালপত্র নিয়ে নামা-ওঠার জন্য থাকবে এসক্যালেটর ও লিফট। যাত্রীরা যাতে স্টেশন থেকে বেরিয়েই গাড়ি পান, তার জন্য তৈরি হয়েছে প্রিপেইড ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। তৈরি হচ্ছে সাবওয়ে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সাঁতরাগাছি কে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (কলকাতা মেট্রো লাইন ২) সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।[১]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
স্টেশনে সংরক্ষিত ন্যারো গেজ বাষ্প লোকোমোটিভ
-
সাঁতরাগাছি রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী টার্মিনাল